- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এটি একটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা মাসিক খরচে ওয়াইফাই পাওয়া যায়, সেখানে ১৫ হাজার টাকা স্টারলিংক ব্যবহারের জন্য মাসিক খরচ খুব বেশি মনে হতে পারে। তবে, স্টারলিংকের ব্যবহার এবং সুবিধাগুলোর কিছু ভিন্নতা রয়েছে, যা এটি কিছু বিশেষ ব্যবহারকারীর জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে।
কেন স্টারলিংক হতে পারে আকর্ষণীয়:
উচ্চ গতি ও স্থিতিশীলতা: স্টারলিংক সেবা উচ্চ গতি (২৫০ এমবিপিএস বা তার বেশি) এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ দেয়, যা দেশের সাধারণ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের তুলনায় অনেক উন্নত। এটি বিশেষত কাজের জন্য, ভিডিও কনফারেন্সিং, স্ট্রিমিং, এবং ভারী কাজের জন্য উপকারী।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবহার: যেখানে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড সেবা নেই বা দুর্বল, সেখানে স্টারলিংক একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে। গ্রাম বা দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী সংযোগ: স্টারলিংক সেবা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এটি দেশের যেকোনো প্রান্তে একইভাবে কাজ করে, যেটি স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
তবে, বিষয়টি:
উচ্চ খরচ: স্টারলিংকের মাসিক খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি (১৫,০০০ টাকা)। সাধারণ মানুষের জন্য এটি সাশ্রয়ী হতে পারে না, বিশেষ করে যাদের মাসিক আয়ের সঙ্গে মিলে না।
স্থানীয় সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে তুলনা: স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাগুলি যেমন বাংলাদেশে ওয়াইফাই সেবা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় পাওয়া যায়, সেগুলি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সাশ্রয়ী।
সামগ্রিকভাবে:
স্টারলিংক হয়তো নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সব মানুষের জন্য উপযুক্ত না হতে পারে, তবে যারা অধিক গতি, স্থিতিশীল সংযোগ, বা এমন কিছু খুঁজছেন যেটি দেশের কোনো প্রান্তে পাওয়া যায় না, তাদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় অপশন হতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য এর খরচ বেশ বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন