বিশ্ব বাবা দিবস কবে ২০২৫ | Father's Day 2025 কবে পালন করা হবে?

ফিতরা কত টাকা ২০২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ২০২৫ সালের (১৪৪৬ হিজরি) সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরার হার নির্ধারণ করেছে। এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২,৮০৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।


ফিতরা নির্ধারণের পদ্ধতি:

ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী, ফিতরা আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য বা তার সমমূল্যের অর্থ প্রদান করতে হয়। বাংলাদেশে সাধারণত গম, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের ভিত্তিতে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণে নিম্নলিখিত পরিমাণ ও তাদের সমমূল্যের অর্থ বিবেচনা করা হয়েছে:

গম বা আটা: ১.৬৫ কেজি (প্রতি কেজি ৬৬.৬৭ টাকা হিসেবে) = ১১০ টাকা

যব: ৩.৩০ কেজি (প্রতি কেজি ১৬০.৬০ টাকা হিসেবে) = ৫৩০ টাকা

কিশমিশ: ৩.৩০ কেজি (প্রতি কেজি ৬০০ টাকা হিসেবে) = ১,৯৮০ টাকা

খেজুর: ৩.৩০ কেজি (প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হিসেবে) = ২,৩১০ টাকা

পনির: ৩.৩০ কেজি (প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা হিসেবে) = ২,৮০৫ টাকা

উপরের তালিকা অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ফিতরা গম বা আটা দিয়ে ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফিতরা পনির দিয়ে ২,৮০৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

ফিতরা আদায়ের সময় ও পদ্ধতি:

ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব এবং এটি ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে প্রদান করতে হয়। ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। ফিতরা আদায়ের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:

উপাদান নির্বাচন: উপরের তালিকায় উল্লেখিত যে কোনো একটি উপাদান বা তার সমমূল্যের অর্থ প্রদান করা যেতে পারে।

পরিমাণ নির্ধারণ: নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী উপাদানের পরিমাণ বা তার সমমূল্যের অর্থ নির্ধারণ করা উচিত।

প্রদান পদ্ধতি: ফিতরা সরাসরি দরিদ্র ও অভাবী ব্যক্তিদের প্রদান করা যেতে পারে অথবা স্থানীয় মসজিদ, দাতব্য সংস্থা বা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে।

ফিতরা নির্ধারণে পরিবর্তন:

গত বছর (২০২৪ সালে) সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২,৯৭০ টাকা। এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ৫ টাকা কমে ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফিতরা ১৬৫ টাকা কমে ২,৮০৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের পরিবর্তন। বিশেষ করে গম ও আটার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সর্বনিম্ন ফিতরার হার কমেছে।

উপসংহার:

ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উচিত ফিতরা যথাসময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করা, যাতে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়।

মন্তব্যসমূহ