- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এখনো কিছু কুসংস্কার আছে, যেখানে মৃগী রোগী খিঁচুনি (সিজার) শুরু করলে চামড়ার জুতা শোঁকানো হয় বা জুতা দিয়ে গায়ে বাড়ি দেওয়া হয়। এটি একটি ভুল ধারণা এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এই কুসংস্কারের মূল কারণ কী?
অনেকের বিশ্বাস, মৃগী রোগ দুষ্ট আত্মা বা জিন-ভূতের কারণে হয়, এবং চামড়ার জুতা শোঁকালে বা দিয়ে আঘাত করলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। তবে মৃগী একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসাযোগ্য স্নায়বিক রোগ, যা মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের কারণে হয়—এর সঙ্গে আত্মা বা জিন-ভূতের কোনো সম্পর্ক নেই।
এতে কী ক্ষতি হতে পারে?
✔ রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে, কারণ খিঁচুনির সময় মুখে কিছু ধরলে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ✔ বাড়ি দিলে শরীরে আঘাত লেগে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। ✔ সঠিক চিকিৎসা দেরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।
সঠিক করণীয় কী?
✅ রোগীকে নিরাপদ জায়গায় শুইয়ে দিন এবং আশেপাশে ধারালো বা বিপজ্জনক কিছু থাকলে সরিয়ে ফেলুন। ✅ খিঁচুনির সময় রোগীকে ধরার চেষ্টা করবেন না বা কিছু খাওয়াবেন না। ✅ খিঁচুনি শেষ হলে কাত করে শুইয়ে দিন এবং তার জ্ঞান ফিরতে অপেক্ষা করুন। ✅ যদি বারবার খিঁচুনি হয় বা ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই কুসংস্কার দূর করতে সঠিক তথ্য প্রচার করা জরুরি, যাতে মৃগী রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পেতে পারেন এবং ভুল পদ্ধতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন