- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ওই সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচিত।
জীবন ও কর্ম
লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাওয়া কঠিন, কারণ তার ব্যক্তিগত জীবনের বিস্তারিত তথ্য তুলনামূলকভাবে গোপন রাখা হয়েছে। তবে জানা যায়, তিনি সেনাবাহিনীতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তিনি ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে ওঠেন।
১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, একদল সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারী দলগুলোর একজন সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সামরিক শাসন শুরু হয় এবং রাষ্ট্রে অস্থিরতা বিরাজ করে।
আন্তর্জাতিক পালিয়ে থাকা ও রাজনৈতিক আশ্রয়
হত্যাকাণ্ডের পর, রাশেদ চৌধুরী ও অন্যান্য অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে যান। জানা যায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে, রাশেদ চৌধুরীসহ অনেক অভিযুক্ত অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন হয়।
দণ্ড ও বর্তমান অবস্থা
২০০৯ সালে বাংলাদেশের আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দায়ে রাশেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তবে রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের কোনো বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান ও তাকে আশ্রয় দেয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তার প্রত্যর্পণের জন্য বারবার অনুরোধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে নিন্দিত হয়েছে।
উপসংহার
লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী একজন বিতর্কিত চরিত্র, যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা বাংলাদেশের জনগণের মনে চিরকাল একটি কষ্টকর স্মৃতি হয়ে থাকবে। দেশের বিচার বিভাগ ও সরকার তার দণ্ড কার্যকর করতে সচেষ্ট থাকলেও আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এটি আপনার ব্লগের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আরও তথ্য বা নির্দিষ্ট কিছু যোগ করতে বলুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন