- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলকানি বা ত্বকের খোস-পাঁচড়া একটি সাধারণ সমস্যা যা অস্বস্তি এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা, অ্যালার্জি, সংক্রমণ, বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে চুলকানি হতে পারে। এখানে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় এবং পরামর্শ শেয়ার করা হলো, যা চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
১. নারকেল তেল
নারকেল তেলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং গুণ ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং চুলকানির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ব্যবহার পদ্ধতি:
অল্প পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে চুলকানির স্থানে ম্যাসাজ করুন।
দিনে ২-৩ বার এটি প্রয়োগ করুন।
২. বেকিং সোডা
বেকিং সোডার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের প্রদাহ কমায়। ব্যবহার পদ্ধতি:
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বকের জ্বালা কমায় এবং ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে। এটি চুলকানির কারণজনিত ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক। ব্যবহার পদ্ধতি:
তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে জেল বের করুন।
এটি সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগান।
শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. লেবুর রস
লেবুর অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের চুলকানি প্রশমিত করতে সাহায্য করে। ব্যবহার পদ্ধতি:
তাজা লেবুর রস বের করে তুলোর সাহায্যে চুলকানির স্থানে লাগান।
১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সতর্কতা: কাটা বা ক্ষতস্থানে লেবুর রস ব্যবহার করবেন না।
৫. ওটমিল বাথ (Oatmeal Bath)
ওটমিলের প্রাকৃতিক উপাদান চুলকানি কমিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ব্যবহার পদ্ধতি:
আধা কাপ ওটমিল গুঁড়ো করে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।
এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট গোসল করুন।
সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
৬. ঠান্ডা প্যাক
ঠান্ডা প্যাক বা বরফ চুলকানির জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যবহার পদ্ধতি:
একটি পরিষ্কার কাপড়ে কয়েকটি বরফ নিয়ে পেঁচিয়ে চুলকানির স্থানে চেপে ধরে রাখুন।
১০ মিনিটের জন্য এটি করুন।
৭. তুলসী পাতা
তুলসীর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। ব্যবহার পদ্ধতি:
কিছু তুলসী পাতা পিষে রস বের করুন।
এটি সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগান।
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ত্বকের পিএইচ স্তর ভারসাম্য বজায় রাখে এবং চুলকানি কমায়। ব্যবহার পদ্ধতি:
১ চা চামচ ভিনেগার ১ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে তুলোর মাধ্যমে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত পরামর্শ:
শরীরের ত্বক পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন স্নান করুন।
সিনথেটিক পোশাকের পরিবর্তে সুতি পোশাক পরিধান করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন যাতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার বা প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন।
যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘরোয়া উপায়ে ভালো না হয়, তবে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
চুলকানি কমাতে এই ঘরোয়া উপায়গুলো অত্যন্ত কার্যকর। তবে নিজের ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন