- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ব্যাংকের সুদহার (interest rate) অর্থনীতির বিভিন্ন প্রভাবশালী বিষয়ের উপর নির্ভর করে বাড়ে বা কমে। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক (যেমন, বাংলাদেশ ব্যাংক) সুদহার নিয়ন্ত্রণ করে। এটি নির্ধারণে কিছু প্রধান কারণ হলো:
সুদহার বাড়ে যখন:
মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে: যদি দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে বাজারে টাকা ধার করা ব্যয়বহুল হয়ে যায় এবং খরচ কমে যায়, যা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করে।
মুদ্রার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে: যদি দেশের মুদ্রার মান আন্তর্জাতিকভাবে কমে যায়, তখন সুদহার বাড়িয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারসাম্য আনতে: যখন অর্থনীতি অত্যধিক দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে এবং অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়, তখন সুদহার বাড়িয়ে ঋণের প্রবাহ সীমিত করা হয়।
সুদহার কমে যখন:
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে: যখন অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়ে বা বিনিয়োগ ও ভোগ কমে যায়, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমিয়ে দেয়। এতে ঋণ নেওয়া সহজ হয় এবং বিনিয়োগ বাড়ে।
নির্বাচনী প্রভাব বা নীতি প্রয়োগে: কোনো সময় সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সুদহার কমায়, যাতে মানুষ বেশি টাকা খরচ করে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে: যদি মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যায় বা তা স্থিতিশীল থাকে, তখন সুদহার কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবাহকে বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
উদাহরণ:
সুদহার বাড়ানো: মুদ্রাস্ফীতি যদি ১০% হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়ে ৮%-১০% করতে পারে।
সুদহার কমানো: মন্দার সময়, যখন অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে, সুদহার ৫%-এর নিচে নামিয়ে আনা হয়।
সিদ্ধান্তগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনেটারি পলিসি এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন