বিশ্ব বাবা দিবস কবে ২০২৫ | Father's Day 2025 কবে পালন করা হবে?

মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার সহজ গাইড

 মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায়?


মাতৃত্বকালীন ভাতা কী?


মাতৃত্বকালীন ভাতা বাংলাদেশ সরকারের একটি সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি, যা গর্ভবতী মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পরে মায়েদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করা।





কারা এই ভাতা পেতে পারেন?


নিম্নলিখিত যোগ্যতাসম্পন্ন মায়েরা মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন:


1. গর্ভবতী মায়েরা যারা দরিদ্র শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।



2. প্রথম বা দ্বিতীয় সন্তান ধারণকারী মায়েরা।



3. বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে।



4. পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী নয়।



5. স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত চেকআপ করাচ্ছেন।




মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে কী কী ডকুমেন্ট দরকার?


1. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)।



2. গর্ভাবস্থার প্রমাণপত্র (ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃক প্রদত্ত)।



3. দরিদ্রতার প্রমাণপত্র (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে হবে)।



4. দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।



5. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর (যেখানে টাকা পাঠানো হবে)।




আবেদনের প্রক্রিয়া


1. ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় যোগাযোগ করুন:

মাতৃত্বকালীন ভাতা সংক্রান্ত ফর্ম আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে সংগ্রহ করুন।



2. ফর্ম পূরণ করুন:

প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে ফর্ম পূরণ করুন।



3. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন:

ফর্মের সাথে উল্লেখিত সব ডকুমেন্ট সংযুক্ত করুন।



4. ভাতা অনুমোদনের প্রক্রিয়া:

আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করবে।



5. ভাতা গ্রহণ:

অনুমোদনের পর আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত অর্থ পাঠানো হবে।




মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ


সাধারণত এই ভাতার পরিমাণ ৮,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়, যা তিন বা চার কিস্তিতে দেওয়া হয়।


কেন এই ভাতা গুরুত্বপূর্ণ?


গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।


নবজাতকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।


পরিবারে আর্থিক চাপ কিছুটা কমে।



উপসংহার


মাতৃত্বকালীন ভাতা বাংলাদেশের দরিদ্র মায়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা। সঠিক তথ্য জানার মাধ্যমে আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই সুবিধা পেতে পারেন। আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে আবেদন করুন।

মন্তব্যসমূহ